আপনি কি আপনার হার্ট ভালো রাখতে চান?তাহলে নিয়মিত খেজুর খান।
প্রাকৃতিক মিষ্টতায় ভরপুর এক অনন্য উৎস হচ্ছে খেজুর(Dates)। যা শুধুমাত্র স্বাধের জন্য নয়-সুস্বাস্থ্যের জন্যেও খুবই উপকারী।মরু অঞ্চলের এই ফলটি এখন পুরো বিশ্বেই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। অধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফলটি এতোটাই কার্যকরী যে এটা সহজেই শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। সাধারণত রোজা রাখার পরে কিংবা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পরে আপনি যদি তাৎক্ষণিক ভাবে নিজেকে চাঙা করে তুলতে চান,তাহলে ২/১ টি খেজুর খেয়ে নিন এবং নিজেই দেখে নিন এর জাদুকরী প্রভাব।
খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি,আয়রন,পটাশিয়াম এবং ফাইবার সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই ফলটি নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারলে আপনার মন এবং শরীর দুটোতেই আপনি ইতিবাচক পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।অনেকেই জানেন না নিয়মিত খেজুর খেলে হৃদরোগ,কোষ্ঠকাঠিন্য এমনকি রক্তশূন্যতার মতো সমস্যারও দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়।আজ আমরা এখানে বিস্তারিত ভাবে জানবো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সমূহ এবং কিভাবে এটি আপনার জীবনে নিত্য দিনের অংশ হয়ে উঠতে পারে। এবার চলুন,প্রকৃতির এই অমুল্য উপহার সম্পর্কে আমরা আরও বেশি বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতাঃ
খেজুর সম্পর্কে সঠিক ধারনা,এটি খাওয়ার উপকারি দিক গুলো এবং খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় ও সঠিক নিয়মসমূহ সহ খেজুর খেলে যে যে রোগ থেকে মিলবে মুক্তি এসব বিষয় নিয়ে নিম্নে আলাদা আলাদা ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
✅১টি খেজুরের ক্যালোরি ও পুষ্টিগুণঃ
১টি খেজুরে প্রায় ৬৬ ক্যালরি এবং ২টি খেজুরে গড়ে ১৩২ ক্যালরি পাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে পাওয়া যায় ২৭৫-২৮৫ ক্যালোরি।খেজুরের পুষ্টিগুন অত্যাধিক পরিমানে রয়েছে,যেমনঃ ভিটামিন এ,বি১ (থায়ামিন),সি এবং কে । এছাড়াও কপার,আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজও বিদ্যমান।
মানসিক এবং শারীরিক ২টি ক্ষেত্রেই পরিশ্রম শেষে তাৎক্ষনিক শক্তি বৃদ্ধিতে খেজুর একটি উপকারী ফল। খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়,ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে,আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এসব কারনেই মূলত প্রতিদিনের পুষ্টির তালিকার শীর্ষে রয়েছে খেজুর।
✅প্রতিদিন কয়টি করে খেজুর খাওয়া যাবেঃ
প্রতিদিন খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও পরিমানের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। একজন সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ৩-৪ টি খেজুর খেলে সেটি যথেষ্ট পুষ্টি যোগান দিবে। এছাড়া যারা অধিক পরিমাণে শারিরীক পরিশ্রম করেন তারা ৫-৭ টি খেজুর দৈনিক খেতে পারেন। তবে এর বেশি পরিমাণে খেলে পেটের গ্যাস,ওজন বৃদ্ধি কিংবা শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস,স্থূলতা বা কিডনি সমস্যা থাকলে এরা সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুয়ায়ী পরিমান বুঝে খাওয়াই ভালো।কারন পরিমিত খাওয়া স্বাস্থ্যকর জীবনের লক্ষ্য।
✅খেজুর খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পায়ঃ
খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তি উৎস বলা হয়ে থাকে। এর কারন খেজুরে রয়েছে গ্লুকোজ,ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ যা সহজেই রক্তে শোষিত হয়ে যায়।যার ফলে দ্রুতভাবে শরীরে শক্তি যোগাতে পারে।
আরও রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক শর্করা যা চমৎকারভাবে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার পরে কিংবা খেলোয়াড়, শ্রমজীবী অথবা ব্যস্ত কর্মজীবীদের জন্য এটি দারুন উপকারী। সকালের শুরুতে বা ব্যায়ামের পরে ২/৩ টি খেজুর খেতে পারলে শরীরের শক্তির ঘাটতি পূরন করতে কার্যকর হয়। শুধুমাত্র শারিরীক ক্লান্তি নয় সেই সাথে এটি মানসিক ক্লান্তি দূর করতেও সক্ষম। মানসিক ভাবে সতেজতা আনে এবং দেহে পুষ্টি সরবরাহ করে। খেজুরকে প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার বলে।
✅খেজুরে রক্তের শর্করার পরিমান বেড়ে যায় কি নাঃ
এতে প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি থাকায় অনেকেই ভেবে থাকেন রক্তে শর্করার পরিমান হয়তো বেড়ে যায়।তবে সত্য হলো, খেজুরে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি অবস্থায় থাকার জন্য এটি রক্তে ধীরে ধীরে শকর্রা মুক্তি দিয়ে থাকে।যার কারনে,রক্তে শর্করা বৃদ্ধির আশঙ্কা খুবই কম থাকে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদেরকে অবশ্যই এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।সীমিত পরিমানে খেলে রক্তের সুগারও নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং, পরিমিত ভাবে খেজুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
✅খেজুর খাওয়ার সঠিক সময়ঃ
সকালবেলাঃ
খেজুর খাওয়ার জন্য সকালবেলা খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে কিংবা ব্যায়ামের পরে।এটি একটি উপযুক্ত সময় কারন শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে পারে এবং ক্লান্তি দূর করে।
খাবারের মাঝেঃ
আপনি চাইলে এটিকে খাবারের মাঝেও রাখতে পারেন। শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।ভরাপেটেও খেতে পারেনঃ ২/১ খেজুর আপনি চাইলে ভরা পেটেও খেতে পারেন।ফাইবার সমৃদ্ধ থাকায় এটি হজম প্রক্রিয়াতে খুবই সহায়তা করে।
রাতে ঘুমের আগেঃ
রাতে ঘুমের আগে আপনি ১ টি / ২টি খেজুর আপনি খেয়ে নিতেই পারেন। যার কারনে আপনার ঘুম গভীর হবে এবং খাবার হজমে খুব বেশি সহায়তা করবে।
✅খালি পেটে খেজুর খাওয়াঃ
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়া এটি দারুন ভাবে কাজ করে তাছাড়া এটি একটি প্রাচীন স্বাস্থ্য টিপস।যেটি আধুনিক বিজ্ঞানও স্বীকৃতি দিয়েছে।ঘুম থেকে ওঠার পরই আমাদের শরীর ক্লান্ত ও দূর্বল অনুভব হয়।এর কারন শরীরের গ্লুকোজের পরিমান তখন কম থাকে। তাই খেজুর খাওয়ার পরে শরীর দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে এবং শরীর পায় প্রাকৃতিক শক্তি। খালি পেটে খেজুর খেলে অ্যাসিডিটির প্রবনতাও কমে যার ফলশ্রুতিতে গ্যাস্ট্রিক বা পেটের জ্বালাপোড়া সমস্যাও দূর হয়। আরও ভালো দিক হচ্ছে,সকালে খেজুর খেতে পারলে সারাদিন ক্ষুদা নিয়ন্ত্রনে থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে।যারা সকালে ভারী খাবার খেতে না চায়,এটি তাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর টিপস।
✅ভরা পেটে খেজুর খাওয়া যাবে কি নাঃ
জ্বী, ভরা পেটেও খেজুর খাওয়া যাবে। ভরা পেটে খেলেও এর উপকারিতা আছে। যেমনঃ খাদ্য হজমে সহায়তা করে,ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হওয়াতে পেট ভরা অনুভব হয় এবং খাবারের চাহিদা কম থাকায় ওজনও নিয়ন্ত্রনে থাকে।রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে খেতে হবে পরিমিত পর্যায়ে।
✅রাতে খেজুর খাওয়া ঠিক কি নাঃ
রাতের বেলা খেজুর খাওয়া যেতে পারে, অনেক ক্ষেত্রেই সেটি উপকারীও বটে। যেমনঃ দুধের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেতে পারলে রাতে ঘুম ভালো হয় এবং সেই সাথে দুধ-খেজুর মিলে এর পুষ্টিগন বৃদ্ধি পায়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে প্রয়োজনের তুলানায় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবেনা,তাতে করে পেট ভারি হয়ে যেতে পারে এবং খাবার হজমেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যারা অ্যাসিটিডির সমস্যায় বা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই রাতে খেজুর কম খাওয়া বাঞ্ছনীয়।
✅গরমে খেজুর খাওয়া যাবে কি নাঃ
হ্যা,অবশ্যই গ্রীষ্মকালে খেজুর খাওয়া যাবে। বরং এটি আরও বেশি উপকারী। কারন এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি এবং পানি যা মানবদেহের পানির অভাব পূরন করতে পারে এবং শক্তি যোগাতে পারে। ক্লান্তব দূর করে ও শরীরকে সতেজ রাখে। তবে বেশি পরিমানে খাওয়া যাবেনা,তাতে পেট ভারী হতে পারে,পেট এ গ্যাসের তৈরী হতে পারে।তাই পরিমিত খেতে হবে। তবে গরমের মৌসমে সাধারন ঠান্ডা পানির সাথে খেজুর খেলে সেটি শরীরের জন্য আরও বেশি প্রশান্তিময় হয়ে উঠতে পারে।
✅রোজায় ইফতারিতে খেজুরের উপকারিতাঃ
রোজায় ইফতারির সময়ে খেজুর খাওয়াকে ইসলামে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় এবং সুন্নাত হিসেবে গৃহীত করে। এটি একটি স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া হিসেবে চলমান অবস্থায় রয়েছে। বিজ্ঞানী দৃষ্টিতেও এর গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেশি এবং স্বীকৃত স্বাস্থ্যব্যবস্থা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে না খাওয়ার পরে শরীর সাধারনত দূর্বল হবে স্বাভাবিক, তখন ২/৩ টি খেজুরই হতে পারে আপনার ক্লান্তিবোধ দূর করার প্রধান কারন।খেজুরে গ্লুকোজ থাকায় এটি দ্রুত রক্তে সরবরাহ করে। এছাড়াও এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও আয়রন যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে। ইফতারীতে খেজুর খেলে পাকস্থলী ধীরে খাবার গ্রহন করে যার ফলে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। তাই বলা যায়,রোজায় খেজুর খাওয়া শুধুমাত্র সুন্নাত ই নয় এটি একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। যা শরীর ও মনে সতেজতা ফিরিয়ে আনে।
✅খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা পদ্ধতিঃ
খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পরিমান নির্ধারন করা খুবই জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিছু নিয়ম মানা অবশ্যই জরুরী যাতে এটি উপকারী হতে পারে আপনার জন্য। সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্ক যারা তারা প্রতিদিন ৩-৫ টি খেজুর খেতেই পারেন যা শরীরের জন্য উপযুক্ত। খালি পেটে খাওয়া সবথেকে ভালো তবে অন্য সময়েও আপনি চাইলে খেতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়া যাবেনা তাতে ওজন বৃদ্ধি, পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়েবিটিস রোগিরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরিমিত খাবেন।
তবে আরেক টা দারুন ব্যাপার হলো, দুধের সাথে খেজুর খেলে এর গুনাগুন আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। মনে রাখবেন-সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতিতে,সঠিক পরিমানে খেজুর খাওয়াই আপনার জন্য সুস্বাস্থ্য বয়ে আনবে।
✅খেজুর ও দুধ একসাথে মিশিয়ে খেলে যা হয়ঃ
খেজুরের সাথে দুধ মিলিয়ে খেতে পারলে এটি আরও বেশি স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর হয়ে উঠে। এর কারন,খেজুরে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টি দুধের প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের সাথে মিলিত হয়ে শরীরে অধিক পরিমানে শক্তি ও পুষ্টি প্রদান করে থাকে। যা শিশু,বৃদ্ধ কিংবা দূর্বল ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। সকালের নাস্তায় অথবা রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর দুধের সাথে ভিজিয়ে খেতে পারলে হজম ভালো হয়,সেই সাথে শরীরে পুষ্টিগুন বৃদ্ধি পায়। তবে যারা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এ ভোগেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে অর্থাৎ তাদের এই প্রক্রিয়াটি পরিহার করা উচিৎ।
✅শিশুদের জন্য খেজুর খাওয়ার নিয়ম সমূহঃ
শিশুদের ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়ানো শুরু করা যেতে পারে তখনই,যখন তারা যেকোনো খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে পারে। সাধারন এটি ১ বছরের পর থেকে শুরু করা যায়। খেজুরে থাকা আয়রন,ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম শিশুর শাররীরিক ও মানসিক বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেজুরে হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং শিশুর পেট পরিস্কার রাখে। প্রাথমিক দিকে খেজুরকে পিষে বা দুধের সাথে ভিজিয়ে নরম করে খাওয়ানো যেতে পারে। প্রতিদিন ১/২ টি খেজুরই যথেষ্ট। অতিরিক্ত খাওয়ালে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে অথবা বেশি মিষ্টির কারনে দাঁতে সমস্যা তৈরী হতে পারে।তাই নিয়মিত ও পরিমিত দুটি বিষয় কে লক্ষ্য রেখে শিশুকে খেজুর খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে পারলে মিলবে চমৎকার ফলাফল।
✅গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া যাবে কি নাঃ
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া গর্ভবতী মা এবং অনাগত শিশু উভয়ের জন্যই লাভজনক। খেজুরে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে যা এই সময়ের একটি বড় সমস্যা। তাছাড়া খেজুরে থাকা ফাইবারের জন্য গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।যা একটি সাধারন সমস্যা এই অবস্থায়। এছাড়া খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও ফসফরাস শিশুর স্নায়ুতন্ত্র গঠনেও খুব বেশি ভূমিকা পালন করে। গবেষনায় দেখা গিয়েছে,গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নিয়মিত ও পরিমিত খেজুর খাওয়ার ফলে স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা বাড়ে। তবে এই বিষয়ে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াটা আরও বেশি উত্তম।
✅খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে?
সাধারণত খেজুর মিষ্টি হওয়াতে অনেকেই মনে করে খেজুর খেলেই ওজন বাড়ে।কিন্তু পুরো বিষয়টি বিপরীত।বরং,নিয়মিত ও পরিমিত খেজুর খাওয়াতে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে, এমনকি চাইলে ওজন কমানো ও যায় এবং শরীর সুস্থ ও সতেজ ও রাখা যায়।কারন এতে রয়েছে ফাইবার যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে যাতে করে অতিরিক্ত খাবার চাহিদা পরিহার করা যায়। গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ শরীরে শক্তি সরবরাহ করলেও এটি পরিমিত খেলে চর্বিতে পরিনত হয় না। দিনে ২-৪ টা খাওয়া যেতেই পারে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না,তাতে আবার বিপরীত প্রক্রিয়া ঘটবে অর্থাৎ অতিরিক্ত ক্যালোরি জমে গিয়ে ওজন বেড়ে যেতেই পারে। সুতরাং, নিয়মিত ও পরিমিত খাওয়াই হলো সুসাস্থ্যের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।
✅ওজন কমাতে খেজুরের কাজঃ
খেজুর খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব যদি তা নিয়মিত ও পরিমিত হয়। এতে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার পেট কে ভরা রাখে অর্থাৎ খাবারে অনাগ্রহ থাকায় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবনতা থাকে না।এছাড়াও গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকায় শরীরে শক্তি যোগান দিলেও সেটি আর চর্বিতে পরিনত হয় না।খেজুর তাৎক্ষনিক শক্তি প্রদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যে কারনে বাড়তি অন্যান্য অনেক ধরনের খাবার খেয়ে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করার প্রয়োজন পরে না। যারা স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরন করে চলেন তারা প্রতিনিয়ত তাদের খাদ্য তালিকায় খেজুর রেখে থাকেন। নিয়ম মেনে খাওয়াই বুদ্ধিমত্তার কাজ কারন তাতে আরও বেশি উপকার লাভ করা যায়।
✅খেজুর খেলে ত্বক ও চুলের উপকারিতাঃ
খেজুরে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যা ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে।নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ত্বকের কোষগুলো পুনর্জীবিত হয়। তাছাড়া বয়সের ছাপ অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া খেজুরে থাকা ভিটামিন-সি ত্বককে নরম ও মসৃন করে তোলে।
আবার চুলের জন্যেও খেজুর বেশ উপকারি,কারন এতে রয়েছে আয়রন ও অন্যান্য খনিজ যা চুল পরা বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। খেজুরে থাকা পুষ্টিগুন শরীরের ভিতর থেকে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে।
✅খেজুর খেলে কি কি রোগ থেকে মিলবে মুক্তি?
খেজুর হলো একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড। যার ভিতরে লুকিয়ে আছে অসংখ্য স্বাস্থ্যরক্ষাকারী উপাদান। নিয়মিত খেজুর খেতে পারলে এটি একটি ঔষধ হিসেবেও কাজ করে।তখন শরীর নিজ থেকেই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
নিচে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য রোগ সম্পর্কে তুলে ধরা হলো যা খেজুর খাওয়ার ফলে সুরক্ষা হিসেবে কাজ করবেঃ
✅খেজুর খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ
হার্টের সুস্থতা বজায়ের লক্ষ্যে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুরকে আপনি সংযুক্ত করতে পারেন।খেজুরে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম যা হৃদযন্ত্রের গঠন ও কার্যক্ষমতা রক্ষা করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে দেয় যা ধমনীতে চর্বি জমতে দেয়না,প্রতিরোধ করতে পারে এবং হৃদরোগের আশঙ্কা বহুলাংশে কমিয়ে দেয়। আরও আছে ম্যাগনেসিয়াম যা হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রন করে এবং হৃদপিন্ডের পেশিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে,যার ফলে হৃদপিন্ড সুস্থ ও সবল থাকে। যে কারনে আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা কমে যায়।
প্রতিদিন ৩-৪ টা খেজুর খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ ও শক্তি পায়,যার ফলে হৃদপিন্ডকে সবল রাখে। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই নিয়মানুসারে পর্যাপ্ত খেতে হবে,প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিত ও নিয়মিত খেতে হবে।
✅খেজুর খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়ঃ
খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রার আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরী করে।প্রতিদিন ২/৩ টি খেজুর খেলে শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরন হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে।অর্থাৎ খেজুর খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।খেজুরে থাকা ভিটামিন-সি আয়রন শোষনেও কাজ করে থাকে।রক্তশূন্যতায় ভোগা ব্যক্তি, কিশোর-কিশোরী বা গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত খেজুর খেলেও হবেন।তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া আরও বেশি উত্তম।খেজুর একদিকে যেমন পুষ্টিকর,অন্যদিকে রক্ত তৈরিতে প্রাকৃতিক সহায়ক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।
✅খেজুর খাওয়া কিডনির জন্য ভালো কি নাঃ
সুস্থ শরীরের জন্য খেজুর কখনই ক্ষতিকর নয়,বরং পুষ্টিগুনে ভরপুর থাকায় এটি আরও বেশি উপকারী।প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারে।তবে হ্যা,যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে কিংবা কার্যকরী ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাদের এই ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারন এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তে বৃদ্ধি পেলে সমস্যাগ্রস্থ কিডনির জন্য বিপর্যস্ত হতে পারে। তাই এদের ক্ষেত্রে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া সর্বোত্তম।সুস্থ মানুষদের জন্য নিয়মিত ও পরিমিত খেজুর খাওয়া কিডনির জন্য ভালো কি না বলতে হলে সেটি অবশ্যই ভালো এবং স্বাস্থ্যসম্মত।
✅ডায়াবেটিস রোগী খেজুর খেতে পারবে কি নাঃ
ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার বিষয় টিকে নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন এই ভেবে যে মিষ্টি বেশি হওয়াতে আবার ক্ষতি হবে কি না।ডায়েবেটিস রোগীরা খেজুর খেতে পারবে কি না বলতে হলে-হ্যা,এই ধরনের রোগীরাও খেজুর খেতে পারবেন।খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবার থাকায় সেটি শরীরে দ্রুত শোষিত হতে পারেনা।তাই সীমিত পরিমানে অর্থাৎ ১-২ টি খেলে ক্ষতি হবেনা। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি থাকায় রক্তে শর্করা ধীরে বাড়ে,নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেলে উপকারী।তবুও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ধরনের রোগীরা খেজুর খেলে আরও বেশি উপকৃত হবেন।
✅খেজুর খাওয়া পেটের জন্য ভালোঃ
নিঃসন্দেহে খেজুর খাওয়া পেটের জন্য ভালো কারন এটি হজমে সহায়ক এবং পেটের জন্য খুবই উপকারী।এতে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে এটি গ্যাস বা অম্বলের মতে সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেটের প্রদাহ অর্থাৎ জালা পোড়া কমাতে পারে।তবে অতিরিক্ত খেলে পেট ভারি বা পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সুস্থতার জন্য পরিমিত খেতে হবে।
✅খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের অসুখ দূর হয়ঃ
খেজুরে রয়েছে ফাইবার সমৃদ্ধ যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে এবং অন্ত্রে মল চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় রাখে।যে কারনে গ্যাস্ট্রিক,অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যারও খুব ভালো সমাধান দিতে পারে।অর্থাৎ নিয়মিত খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের অসুখ দূর হয়।
✅খেজুর খেলে শরীরের দূর্বলতা ও অবসাদ দূর করেঃ
খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্লুকোজ,ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ। যে কারনে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায় এবং শারীরিক ও মানসিক স্বস্তি দেয়।অর্থাৎ খুব সহজেই খেজুর খেলে শরীরের দূর্বলতা ও অবসাদ দূর করে।
✅খেজুর খেলে হাড়ের দূর্বলতা ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করেঃ
খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম,ফসফরাস ও ভিটামিন যা হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করতে পারে। অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোধেও খুবই কার্যকরী।অর্থাৎ নিয়মিত খেজুর খেলে হাড়ের দূর্বলতা ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।
✅খেজুর খেলে ইনফেকশন ও ফ্লু প্রতিরোধ করেঃ
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতেও খেজুর অন্যতম ভূমিকা পালন করে।খেজুরে আছে জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং এই ধরনের সমস্যা থেকে এরিয়ে চলতে পারে।অর্থাৎ জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম বিদ্যমান থাকায় খেজুর খেলে ইনফেকশন ও ফ্লু প্রতিরোধ করে।
✅খেজুরে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও ত্বকের সমস্যা দূর করেঃ
খেজুরে রয়েছে ভিটামিন-এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই কার্যকরী। তাছাড়া ত্বককেও রাখে উজ্জ্বল ও সতেজ।তাই সহজেই বলা যায় যে,খেজুরে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও ত্বকের সমস্যা দূর করে।
✅খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল সতর্কতাসমূহ অবলম্বন করা উচিৎঃ
১।ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে ঝুঁকি এড়িয়ে চলাঃ
সাধারনত খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকায় প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ২৭৫-২৮৫ ক্যালোরি থাকে।যে কারনে ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে,প্রতিদিন অনেক খেজুর খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা পরবর্তীতে ঝুঁকির কারন হয়ে দাঁড়ায়। তাই পরিমান নির্ধারন করে নিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২।কিডনি রোগীদের জন্য সাবধানতাঃ
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।সাধারনত কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে পটাশিয়াম স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে বের হতে পারেনা যার ফলে শরীরে এর পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে যায়।পরবর্তীতে এটি স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং হৃৎস্পন্দনেও ব্যাঘাত ঘটায়।
৩।গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিটিডির ক্ষেত্রেঃ
খেজুর অনেকটাই গরম প্রকৃতির।যে কারনে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেললে পেট এ গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। অথবা খালি পেটেও বেশি খেয়ে ফেললে এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৪।ওজন বৃদ্ধি হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবেঃ
খেজুরে প্রচুর ক্যালোরি ও প্রাকৃতিক চিনি থাকায় পরিমানের থেকে বেশি খেয়ে ফেললে দ্রুত ওজন বেড়ে যেতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে প্রতিদিন ২/৩ টার বেশি খেজুর খাওয়া উচিৎ নয়।
৫।রাতে খেজুর বেশি খেলে হজমে যে সমস্যাঃ
অনেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়,রাতে খেজুর খেলে পেটে গ্যাস অথবা হালকা বদহজম হয়ে যায়। বিশেষ করে যাদের পাচনতন্ত্র দূর্বল তাদের ক্ষেত্রে। এই ধরনের সমস্যা যাদের আছে তারা রাতে কম খেজুর খাওয়াই ভালো বা প্রয়োজনে রাতে এটি এরিয়ে চলাই উত্তম।
৬।গ্রীষ্মকালে খেজুর খাওয়ায় সতর্কতাঃ
গরমের সময়ে খেজুর বেশি খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে, সেই সাথে ডিহাইড্রেশন এবং মাথা ব্যথার মতো ও নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই পর্যাপ্ত ও নিয়মানুসারে খেতে হবে।
৭।শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুনঃ
কখনোই শিশুদেরকে বীজ সহ খেজুর মুখে দিবেন না। খেজুর থেকে বীজ টাকে বের করে কম পরিমাণ করে দিন,অন্যথায় বীজ বা বড় টুকরা শিশুর গলায় আটকে যেতে পারে।
🔰উপসংহারঃ
শুধুমাত্র খেজুর একটি ফলই নয়;এটি প্রকৃতির একটি অনন্য উপহার।যা যুগ যুগ ধরেই পুষ্টি,শক্তি ও আরোগ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয়ে এসেছে।খেজুর অনেক বেশি উপকারী হলেও শরীর,বয়স,পরিবেশ, সময় ও পরিমান বুঝে খাওয়াটা খুব বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একটু সচেতন হলেই খেজুরের সকল ধরনের উপকার পেতে পারেন কোনো প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই।
আমাদের প্রত্যাশা,আপনাদের সুস্থতা।সুস্থ থাকুন, Health Mtnity এর সাথেই থাকুন।
খেজুর সম্পর্কে আপনি আরও বেশি জানতে আগ্রহী হলে এখানে প্রবেশ করে আরও বিস্তারিতভাবে জানুন।
Leave a Reply